এক সময় হিন্দু শাসকরাই শাসন করতো সমগ্র পূর্ববঙ্গ। তখন ছিল শান্তির পরিবেশ। ধর্মপ্রাণ শাসকদের সত্য, ন্যায়, মানবতা প্রতিষ্ঠাই প্রধান লক্ষ্য ছিল। এই পরিবেশের অবনতি ঘটতে শুরু করলো ইসলামী শাসন থেকেই। ব্রিটিশ শাসনে মেকলেবাদ গ্রাস করল সমগ্র ভারতীয়ত্ব। ধর্মহীনতার পথের যাত্রী বৃদ্ধি। তথাপি, হিন্দু শাসকরা পূর্ববঙ্গের মাটিতে স্থাপন করেছিল হাজার হাজার মঠ, মন্দির। দেবোত্তর সম্পত্তি ঘোষণা করেছিল লাখ–লাখ বিঘা ভূসম্পদ। এই সম্পত্তির উপার্জিত অর্থে নিত্য পূজিত হতেন দেব–দেবীরা। ঢাকায় বারোশো বছরের প্রাচীন রমনা কালী মন্দিরের ভূসম্পত্তি ছিল ৩৩ একর, মানে ৯৯ বিঘা। পাকিস্তান সরকার আট (৮) একর বলপূর্বক দখল করে ঢাকা হাইকোর্ট নির্মাণ করে।বাংলাদেশ সরকার অবশিষ্ট সবটাই দখল করল মুজিবের নির্দেশে। হিন্দুদের তীব্র আন্দোলনের ফলে, দুই (২) একরের কিছু বেশি জমি ফেরত দিয়ে দয়া প্রদর্শন করলেন ইসলামী শাসকরা। অপর মন্দির ৪০০ বছরের প্রাচীন ভরদেশ্বরী কালী মন্দির ঢাকা রাজারবাগ এলাকায় অবস্থিত। এই মন্দিরের নামে দেবোত্তর সম্পত্তি ২০০ বিঘা। ১০ বিঘা বাদে, ১৯০ বিঘা জমি চলে গেছে ইসলামি গ্রাসে। সন্ধ্যার পর অন্ধকার রাজত্বে পরিণত হয় মন্দির চত্বর, প্রাণ ভয়ে নীরব থাকে পূজারী ও মন্দির কমিটি। মা লক্ষ্মীর বর প্রাপ্ত পুলিশ থাকে নীরব। ২০০ বছরের প্রাচীন ঢাকা শহরের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় অবস্থিত সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের নামে দেবোত্তর ভূমি ছিল কমপক্ষে ১০ একর। বর্তমানে আছে এক বিঘা। দখলের গ্রাসে চলে গেছে ২৯ বিঘা। ঢাকার ডেমরা থানা অন্তর্গত কায়েতপাড়া এলাকায় সাধক সুধারাম বাউলের ঘাটলা আশ্রম সাত বিঘা চলে গেছে দখলদারদের গ্রাসে। শুধুমাত্র লোহার কুঠার দিয়ে বৃক্ষ কর্তন করা যায় না। যদি কুঠারের সাথে যুক্ত হয় বৃক্ষের অংশ, সহজেই বৃক্ষ কর্তন করা যায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পোষ্য, হাফ হিন্দু রাজাকার, আলবদর নেতারা মন্দির পরিচালনা কমিটিতে প্রবেশ করছে। সময় সুযোগ মত মন্দিরের সম্পত্তি বিধর্মীদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে হস্তান্তর করে দিচ্ছে। এই পাপী, সমাজ দ্রোহীদের সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠছে ভারত, আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে।