অমৃতফল নামক বৃক্ষ উৎপত্তি কোথায়, কোন দিন, কীভাবে হইয়াছিল তাহা বলা কঠিন! বৃক্ষটির আকার, কাণ্ড, পত্র কেমন হইয়াছিল? কে প্রথমে অমৃত ফল ভক্ষণ করিয়া স্বাদ আস্বাদন করিয়াছিল? ভক্ষণকারী স্বাদের বর্ণনা কেমন দিয়েছিল? আমাদের তাহা অজানা। বর্তমান বাজারে, শতাধিক প্রকার অমৃত ফলের সন্ধান মিলিতে পারে। ভারতবর্ষের গ্রামে, গঞ্জে, নগরে, পাহাড়, জঙ্গলে এই মধুফল বৃক্ষ দেখা যায়। ভারতবাসী এই ফলকে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভূষিত করিয়াছে। জাতীয় ফলের পুষ্টিগুণ ফল বিশেষজ্ঞরাই বলিতে পারিবেন।
ভারতের জাতীয় ফল হইলেও, এই ফল চাষে, প্রশংসা অর্জন করিয়াছে বাংলাদেশ রাজ্য । সেখানকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার স্বরূপ ২৬০০ কেজি কেজি হাঁড়িভাঙ্গা আম ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পাঠিয়েছেন। হাঁড়িভাঙ্গা আম এখন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বিশেষ অতিথি বটে। ইতিপূর্বে হাসিনা সাহেবা একাধিকবার উপহার পাঠিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য ভাতে মাছে বাঙ্গালীর পদ্মার ইলিশ অন্যতম। ইলিশের সাথে গোপন পথে ইবলিশও প্রবেশ করেছিল। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে দিয়েছিল। হাঁড়িভাঙ্গা সাথে, অন্ধকারের কোন জীব প্রবেশ করে আমাদের কারো দাঁত ভাঙবে না তো? আপনার দেশে বসবাসকারী ভূমিপুত্র সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আদিবাসীদের প্রতিদিনই দাঁত ভেঙে দিচ্ছে। আমাদের চেয়ে এ বিষয়ে আপনিই ভাল জানেন। তীব্র ভারতবিদ্বেষী অপপ্রচার বাংলাদেশে সর্বত্রই চলছে। এ বিষয়ে, আপনি কী ভাবছেন? কী করছেন? এই সমস্ত অপকর্ম বন্ধ হইলে, তবে দুই দেশের জনগণের মধ্যে অমৃত তুল্য সম্পর্ক গড়িয়া উঠিবে। আমরা চাই, সাময়িক হাঁড়িভাঙ্গা আমের চেয়ে চিরস্থায়ী সুস্থ অমৃত তুল্য সম্পর্ক। ভুলে যাবেন না, এক পুরুষ পূর্বে আপনারা অখণ্ড ভারতের বাসিন্দা ছিলেন। আপনাদের পূর্বপুরুষরা ধর্মান্তরিত হিন্দু।